রাত পোহালেই কুরবানীর ঈদ । কিছুদিন আগেও চাঁদ রাতে মেহেদি পাতা সংগ্রহ করে তা দীর্ঘক্ষণ ধরে বেটে মিহি করে মাঝখানে গোল এবং চারপাশে ছোট ছোট বৃত্ত করে মেহেদি লাগানো হতো। ঢুলঢুল চোখ নিয়ে চলত অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর গণনা কখন শুকাবে মেহেদি; এখন আর সেই দিন নেই।
সময়ের পরিবর্তে, যুগের আধুনিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে মেহেদিতে। এখন আর গাছ থেকে মেহেদি পাতা সংগ্রহ করতে হয় না, যে কোনো কসমেটিকসের দোকানে গেলেই মিলবে সুলভ মূল্যে নানা ধরনের মেহেদি। যার রঙও হবে আলাদা আলাদা ধরনের।
মেহেদি যদি ঘরে বেটে কোণ তৈরি করা হয় তাহলে চাইলে কচি পেয়ারা পাতা, লেবুর রস, চা ইত্যাদি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই উপাদানগুলো মেহেদির রং গাঢ় হতে সাহায্য করে।
মেহেদী লাগানোর পরঃ
১। মেহেদি দেওয়ার পর অনেকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থাকেন যা কখনোই করবেন না। সাবানের ক্ষারীয় উপাদান মেহেদির রং কে ফিকে করে দেয়।
২। মেহেদি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই হাত ধুয়ে ফেলবেন না। কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে রাতে মেহেদি দিয়ে পরের দিন সকালে তা তুলে ফেলুন। গোসলের কাজটা মেহেদি দেওয়ার পূর্বে শেষ করে ফেলুন। মনে রাখবেন মেহেদি যত বেশি সময় হাতে রাখবেন তত বেশি গাঢ় রং হবে ।
৩। চিনি, লেবুরপানি মেহেদির রংকে গাঢ় করে থাকে। কিন্তু খুব বেশি ব্যবহারে মেহেদি খয়েরি রং হয়ে যায়। যা দেখতে একদমই ভাল না।
৪। মেহেদি শুকানোর জন্য কখনই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার ডিজাইন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রাকৃতিকভাবে মেহেদি শুকাতে দিন। প্রয়োজন হলে ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন মেহেদি শুকানোর জন্য।
৫। মেহেদি দেওয়ার পূর্বে খুব বেশি পানি বা পানি জাতীয় খাবার খাবেন না।
৬। হালকা বা আবছা আলোর মধ্যে মেহেদি দিবেন না।ভাল মেহেদি ডিজাইনের জন্য পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন।
৭। লেবুতে যাদের এলারজি তারা অনেক সময় সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকেন মেহেদি রং গাঢ় করার জন্য । তেল ব্যবহারে হাতের শুষ্কতা অনেকটাই কমে যায়।তবে তেল ব্যবহেরের পূর্বে এর মান সম্পর্কে নিশ্চত হয়ে নেবেন।
৮। অনেকে মেহেদি তেল ব্যবহার করেন। মেহেদি তেল কেনার পূর্বে এর মেয়াদ এবং তৈরির উপাদান দেখে নিবেন। এটি মেহেদি লাগানোর পূর্বে ব্যবহার করতে হয়। কখনোই মেহেদির লাগানোর পর এই তেল ব্যবহার করবেন না।
কেমন হল জানাবেন । আর ভাল লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন । ধন্যবাদ ।
ঈদ মোবারাক ।
Reply EmoticonEmoticon